তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ | ছবি: সংগৃহীত |
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করা হলেও জনগণের তথ্য প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত ঘটবে না। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তথ্য পরিকাঠামো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠান মনগড়া ও বানোয়াট তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারণ, পরিকাঠামোগুলোর নিরাপত্তা সামান্য বিঘ্নিত হলেও জনগণের বিপুল ক্ষতির কারণ হবে। তাই এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিভ্রান্তি দূর করতে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হচ্ছে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোনো বাহ্যিক বা ভার্চ্যুয়াল তথ্য পরিকাঠামো, যা ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকটাপন্ন হলে জননিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্য, জাতীয় নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্বের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় সরকারি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করেছে সরকার। গত ২১ সেপ্টেম্বর এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। আইসিটি বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে ২৬ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করেছে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে সরকার এবং জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ও আর্থিক তথ্যাবলি সংরক্ষিত থাকায় এদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহের আইটি অডিট সম্পন্ন, যথাযথ অবকাঠামো নির্মাণ, সঠিক মানসম্পন্ন নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ, যথাযথ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন মানবসম্পদ নিয়োগ ইত্যাদি কার্যক্রমের দ্বারা পরিকাঠামোসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনসাধারণকে নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা পৌঁছে দেওয়াই এই ঘোষণার প্রধান উদ্দেশ্য।’ ভারত, কোরিয়া, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহ চিহ্নিত আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করলে সাত বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। বেআইনিভাবে প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন বা ক্ষতির চেষ্টা করলে ১৪ বছর কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডই দেওয়া যাবে।