‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত আলোর মুখ দেখবে’

রোববার সকালে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার ডালিয়ায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ও তিস্তা অববাহিকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি নীলফামারী: প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে তিস্তা নদীর সার্বিক পানি ব্যবস্থাপনা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী তিস্তার ভূপ্রাকৃতিক গঠনে ব্যাপক পরিবর্তন হবে। চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হলেও নানা জটিলতায় সেটি থমকে যায়।

রোববার সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং নীলফামারী ও লালমনিরহাটের ডালিয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ও তিস্তার অববাহিকা পরিদর্শনে যান। চীনা রাষ্ট্রদূত পরিদর্শনে আসায় প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে আশার আলো দেখছেন তিস্তাপারের বাসিন্দারা।

পরিদর্শনে এসে চীনা রাষ্ট্রদূত তিস্তাপারের সার্বিক পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত আলোর মুখ দেখবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সব দিক দিয়ে এ এলাকার পরিবর্তন ঘটবে। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনীতি, যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আসবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে এবং দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূতের সফরসঙ্গী হিসেবে চীনা দূতাবাসের রাজনৈতিক উপদেষ্টা মি ওয়াং ঝিহং, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মি জিইউ ঝিকিন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক ভূঁইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমান, লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি এম এ মমিন, পাউবোর ডালিয়া এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন, হাতীবান্ধার ইউএনও নাজির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ভাটি থেকে তিস্তা-যমুনার মিলনস্থল পর্যন্ত নদীর প্রস্থ কমিয়ে ৭০০ থেকে ১০০০ মিটারে সীমাবদ্ধ করা হবে। নদীর গভীরতা বাড়বে ১০ মিটার। নদীশাসনের মাধ্যমে তিস্তা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পানি বহনক্ষমতা বাড়ানো, নদীর দুই পারে বিদ্যমান বাঁধ মেরামত করা, দুই পারে মোট ১০২ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করা ইত্যাদি।