বিদ্যুৎ না থাকায় জ্বলছে না সড়কবাতি। অন্ধকার সড়কে হেডলাইটের আলোয় চলছে যানবাহন। আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাজধানীসহ দেশের বড় এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পরও বিদ্যুৎ না থাকায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়কবাতি জ্বলছে না। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই রাস্তাঘাট অন্ধকার হয়ে গেছে।
সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক (বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সামনের সড়ক), গ্রিনরোড (ফার্মগেট থেকে পান্থপথ হয়ে সায়েন্স ল্যাব), ইন্দিরা রোড, খামারবাড়ি সড়ক এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে একটি সড়কবাতিও জ্বলতে দেখা যায়নি। শুধু যানবাহনের বাতির আলোয় সড়কের অন্ধকার কিছুটা দূর হচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার হওয়ায় এসব এলাকার বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ আছে।
সড়কবাতি বন্ধ থাকায় রিকশা চালাতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান চালকেরা। চালক মফিজুল ইসলাম বলেন, চারদিকে অন্ধকার থাকায় প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের বাতি চোখে লাগছে। গাড়ির আলো চলে যেতেই আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আসতেও সময় লাগছে।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক দোকানে মোমবাতি জ্বালিয়ে বেচাবিক্রি করতে দেখা গেছে। অনেকে গরমে টিকতে না পেরে বাসার বাইরে বেরিয়ে রাস্তায়, ফুটপাতে নেমে এসেছেন। কোনো কোনো গলিতে ঘুটঘুটে অন্ধকার। সেখানে মুঠোফোনের বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করছেন অনেকে।
ফার্মগেটে নিউ পপুলার হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ নামের একটি খাবার দোকানে প্রতিটি টেবিলে মোমবাতি জ্বালিয়ে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল। দোকানের বিক্রয়কর্মী মুরাদ আহমেদ বলেন, বেলা আড়াইটার পর থেকে বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটরের তেলও (ডিজেল) শেষ। সন্ধ্যার পর মোমবাতি জ্বালিয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে পাঁচ টাকায় বিক্রি হওয়া মোমবাতিগুলো দ্বিগুণ দামে কিনতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকা ও গার্ডেন সড়কের (বসুন্ধরার পেছনে) গলিপথ পুরো অন্ধকারে ঢাকা। ওই গলিপথে অনেককে মুঠোফোনের বাতি জ্বালিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে। গার্ডেন সড়ক এলাকায় অনেক বাসিন্দাকে গরমের কারণে ঘরের বাইরে এসে ফুটপাতে ও রাস্তায় বসে থাকতে দেখা গেছে।
ইসমাইল খান নামের এক বাসিন্দা বলেন, বাসার ভেতরে বৈদ্যুতিক
পাখা ছাড়া এক মুহূর্ত টেকা কঠিন। সেখানে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই। একদিকে
অন্ধকার, অন্যদিকে গরম। এর সঙ্গে আবার বাসায় পানিও নেই। তাই রাস্তায় নেমে
এসেছেন। বাইরে একটু হলেও বাতাস গায়ে লাগে।