বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে এটিএম থেকে টাকা তুলতে সমস্যা, ভোগান্তি

এটিএম বুথ | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ব্যাংকের এটিএম সেবায় বিঘ্ন ঘটছে। বেশির ভাগ ব্যাংকের এটিএমে জেনারেটর বা বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ব্যাংকের অনেক গ্রাহক।

আজ বেলা ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

সন্ধ্যার পর কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ ঘুরে কিছু বুথ বন্ধ পাওয়া যায়। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় ঢাকার বাইরের অনেক এটিএমও অচল হয়ে পড়ে। আর যেসব এটিএম বুথ চালু ছিল, তাতে ভিড় দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএমের মধ্যে চালু ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্র্যাক সেবা, আইএফআইসি, ব্র্যাক, অগ্রণী, এবি ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ। আর বন্ধ পাওয়া যায় ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, প্রিমিয়ার, সাউথইস্ট ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এটিএম বুথ।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফাস্ট ট্রাকে আছে একাধিক এটিএম বুথ। পাশাপাশি অন্য ব্যাংকের গ্রাহকেরাও প্রতিবার বাড়তি ১৫ টাকার বিনিময়ে টাকা তুলতে পারেন। এ জন্য ফাস্ট ট্র্যাকে ভিড় দেখা গেছে।

ফার্স্ট ট্রাকের নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, দুপুর থেকেই ভিড় শুরু হয়েছে, অন্যদিন এমন ভিড় থাকে না, তাই যেকোনো সময়ে টাকা শেষ হয়ে যেতে পারে।

ব্যাংকের এটিএম সেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানান, সব এটিএমে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা যায়নি। আবার বিকল্প ব্যবস্থা থাকলেও তা সচল ছিল না। এমন সংকটের কারণে এখন বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়টি ভাবতে হচ্ছে।

এদিকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক বিভ্রাট ঘটে। এতে অনেক ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) যন্ত্রের লেনদেনেও সমস্যা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে কার্ডের পরিবর্তে নগদ টাকায় লেনদেন করতে হয়। দেশে এটিএম বুথ আছে ১ লাখ ৩০ হাজার, এর মধ্যে প্রায় ৯ হাজার শহর এলাকার; আর পিওএস আছে এক লাখ দুই হাজার। এর মধ্যে শহর এলাকায় আছে ৯৩ হাজার।

এদিকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন সুপারশপও কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। কারণ, জেনারেটর দিয়ে এত দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব নয়। এতে ক্ষতির মুখে পড়েন ব্যবসায়ীরা।

খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠান স্বপ্নের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, পিওএস যন্ত্র চলছিল না। আবার জেনারেটর এত দীর্ঘ সময় চালু রাখা যায়নি। ফলে মাঝে সেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে।