বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হয় পূজামণ্ডপে যাওয়া লোকজনকে। খামারবাড়ি, ঢাকা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে বিভিন্ন পূজামণ্ডপের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটেছে। এতে সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হয়েছে পূজামণ্ডপে যাওয়া লোকজনকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পূজামণ্ডপগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিদ্যুতের অপেক্ষায় থাকা কোনো কোনো পূজামণ্ডপে জেনারেটর চালু করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ সারা দেশে দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজার আজ মহানবমী। মহামারির কারণে গত দুই বছরে সীমিত পরিসরে পূজা আয়োজনের পরে এ বছর বৃহৎ পরিসরে পূজা আয়োজন করা হয়। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে এই দিনে কিছুটা অসুবিধায় পড়তে হয় উৎসবে যোগ দেওয়া সনাতন ধর্মের নারী-পুরুষ ও শিশুদের। তবে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব পূজামণ্ডপেই বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।  

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পূজামণ্ডপে কথা হয় খিলক্ষেতের বাসিন্দা শান্তনার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টেলিভিশনে এই মণ্ডপের অনুষ্ঠান দেখেছি। এই মণ্ডপ দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। এসে দেখি বিদ্যুৎ চলে গেছে।’

মণ্ডপটির পুরোহিত সজল চক্রবর্তী জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সান্ধ্য আরতি শেষ করেছেন তাঁরা। দুপুর থেকে জেনারেটর চললেও সন্ধ্যায় সেটি অকেজো হয়ে যায়। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ এলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, নয়তো হবে না। ভক্তরা মোবাইলের আলোয় মাকে প্রণাম করে চলে যাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক ইয়াসিন বলেন, ‘আমরা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছি। জেনারেটর মেরামতের চেষ্টা চলছে, যেকোনো সময় এখানে বাতি জ্বলে উঠবে।’

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে রাজধানীর সব পূজামণ্ডপের জন্য বাড়তি সতর্কতা জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। জেনারেটর না থাকা মণ্ডপগুলোয় সন্ধ্যার আগেই জেনারেটর ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সিসিটিভি সচলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে বলা হয়। পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।