রুবেল আলী | ছবি: সংগৃহীত |
প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: পাবনার ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী রুবেল আলীকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাঁকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার মহেশপুরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি।
গ্রেপ্তার হওয়া রুবেল আলী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের জাহের আলীর ছেলে।
পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নেওয়ার রাতেই সৌদিপ্রবাসী রুবেল হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন (২২) খুন হয়। খুনের পরই চার বছরের ছেলেকে নিয়ে রুবেল ঈশ্বরদী থেকে পালিয়ে যায়। খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সোনিয়ার মা হামিদা খাতুন বাদী হয়ে রুবেল আলীসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে খুনের মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে সোনিয়া খাতুন ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। স্বামী রুবেল সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ফেরার দিন ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে আনতে যান সোনিয়া খাতুন। ঢাকা থেকে স্বামীকে নিয়ে ফিরে তারা বৃহস্পতিবার রাতে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী শহরের বাবুপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। ওই রাতেই সোনিয়া খুন হয়। এর আগে সোনিয়া ঈশ্বরদী শহরের রেলগেটে মঞ্জু নামে এক যুবককে সঙ্গে নিয়ে বাসা ভাড়ার জন্য বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলেন।
পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি জানান, সোনিয়া খুন হওয়ার পর থেকে রুবেল পলাতক ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সূত্রের মাধ্যমে মহেশপুর এলাকায় একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার। পরে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘গ্রেপ্তার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পরে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি।’
ওসি আরও বলেন, ‘রুবেলকে গ্রেপ্তারের পর তার চার বছরের শিশু সন্তানকে নানির হেফাজতে রেখে আসা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ শনিবার রুবেলকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’