পাবনায় বিদ্যালয় চত্বরেই শিক্ষককে পেটাল ছাত্র

ছাত্রদের মারপিটে আহত শিক্ষককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে ‘শাসন’ করেছিলেন শিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অনুসারীদের নিয়ে ওই শিক্ষককেই পিটিয়ে আহত করেছে অভিযুক্ত ফারদিন হোসেন। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পাবনার সুজানগর উপজেলার সাগরকন্দী রিয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে আহত শিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিককে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

আবু বক্কার সিদ্দিক ওই বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। আর ফারদিন হোসেন একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বখাটে ছাত্র ফারদিন হোসেনসহ তার অনুসারীরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ বিষয়ে শিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিক প্রতিবাদ করেন এবং তাদের ধমক দিয়ে “শাসন” করেন যাতে তারা এমন কাজ না করে। কিন্তু এতে ফারদিন হোসেন শিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই জের ধরে আজ সকাল ১০টার দিকে শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে ফারদিনসহ তার অনুসারীরা তাঁকে বিদ্যালয় চত্বরেই লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে।’ 

এ ব্যাপারে আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিক। 

শিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘একজন ছাত্র বেয়াদবি করবে, স্কুলের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করবে, আর তাকে ধমক দেওয়া, শাসন করা কি আমার অপরাধ? এ জন্য ছাত্র হয়ে শিক্ষকের গায়ে হাত তুলবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। অভিভাবকেরা কি তার সন্তানদের শাসন করা, আদবকায়দা শেখানো ভুলে গেছেন!’ 

জানতে চাইলে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বখাটেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ফারদিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।