দুদক |
পাবনা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক আবদুল জলিল মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিনের নামে চার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে বিপুল পরিমাণ এ সম্পদ অর্জনের কোনো উৎস পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে স্বামী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক পাবনা কার্যালয়। জলিল ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে এ টাকা অর্জন করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আবদুল জলিল মিয়ার বাড়ি পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামে। তিনি পটুয়াখালী বিআরটিএ কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আবদুল জলিল মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা নাছরিন পেশায় গৃহিণী। তাঁর নিজের কোনো আয় নেই। কিন্তু তাঁর নামে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিনি দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে আরও ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৪ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁর নামে ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য মিলেছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মাহমুদা নাছরিনের নিজস্ব কোনো আয় না থাকলেও তিনি আয়কর নথি খুলেছেন। তাঁর সব সম্পত্তি স্বামী জলিল মিয়ার অবৈধ আয় দিয়ে অর্জন করা। জলিল মিয়া অবৈধ আয়কে বৈধ করতেই নিজের নামে সম্পদ না করে স্ত্রীর নামে সম্পদ অর্জন করেন। ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ স্ত্রীর নামে হস্তান্তর করে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন।
দুদুক পাবনা কার্যালয়ে উপপরিচালক খায়রুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অনুসন্ধানের পর স্বামী ও স্ত্রীর নামে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।