নিখোঁজ রাহাত আলী

প্রতিনিধি রাজশাহী:  গত ২৯ জুলাই রাত ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে শ্যালিকার বাসা থেকে বের হয়ে স্ত্রী জোৎস্না বেগমের মুঠোফোনে কল করেন রাহাত আলী (৫২)। বলেন, ‘একটু পরে চট্টগ্রামের গাড়িতে উঠব।’ এর পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে গত ৫ আগস্ট কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন রাহাত আলীর ছেলে আতিকুর রহমান। তবে দুই মাসেও খোঁজ মেলেনি তাঁর বাবার।

রাহাত আলীর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী থানাধীন বাখরাবাজ এলাকায়। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ জুলাই রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন রাহাত আলী। এ সময় তাঁকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বোনের বাসা হয়ে যেতে বলেন স্ত্রী জোৎস্না বেগম। ২৯ জুলাই ভোরে ওই বাসায় পৌঁছান রাহাত আলী।

সারা দিন কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মধ্যের চর এলাকায় শ্যালিকার বাসায় কাটিয়ে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে বের হন। এ সময় জোৎস্না বেগমের মুঠোফোনে কল করে বলেন, রাতে চট্টগ্রামে যাওয়ার গাড়িতে উঠবেন। এর পর থেকে তাঁর কাছে থাকা মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বন্ধু–স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান মেলেনি।

রাহাত আলীর ভাই এনতাজ আলী ও ছেলে আতিকুর রহমান গত রোববার প্রথম আলোর রাজশাহী অফিসে এসে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তাঁরা বলেন, রাহাত আলীর একটি ট্রাক রয়েছে। এটি বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহন করে। ট্রাক কেনাবেচার মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করতেন রাহাত আলী। ২৯ জুলাই একটি গাড়ি কেনাবেচার বিষয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য রওনা হন তিনি।

আতিকুর রহমান বলেন, ফোন নম্বর ট্রেস করে ৩০ জুলাই নরসিংদীর পিরিজকাণ্ডি গ্রামে, ৩১ জুলাই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এবং এরপর একবার গাজীপুরে তাঁর বাবার অবস্থান শনাক্ত করা গেছে বলে জানায় পুলিশ। তিন জায়গায় তিনটি পৃথক ফোন নম্বর ছিল।

তাঁর বাবা একাধিক সিম ব্যবহার করেন জানিয়ে আতিকুর বলেন, প্রথম যে দুটি নম্বর শনাক্ত করা হয়, সে দুটি তাঁর বাবার আগের নম্বর। তবে গাজীপুরে ট্রেস হওয়া নম্বরটি নতুন। সেটি তাঁর বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তাঁর বাবাকে কেউ কোথাও আটকে রেখে থাকতে পারেন বলে মনে হচ্ছে আতিকুর রহমানের। তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তিত। তবে বাবা ফিরে আসবেন, এটাও আমাদের আশা।’

জানতে চাইলে কেরানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা অলক কুমার বলেন, ‘আমরা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’