হত্যা | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় মেয়ের সামনে স্ত্রী বিউটি বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে আবদুল বারেক (৪৯) পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার দুপুরে নিহত বিউটির ভাই মতিয়ার রহমান এ অভিযোগ করেন।
এর আগে আজ ভোরে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুলপাড়া গ্রামের আবদুল বারেকের বাড়ি থেকে গৃহবধূ বিউটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরকীয়ার জেরে হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ জানায়, রোববার ভোরে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ গোপালপুর স্কুলপাড়া গ্রামের আবদুল বারেকের বাড়িতে যায়। সেখানে আবদুল বারেকের শোবার ঘর থেকে তাঁর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘরের দরজা খোলা ছিল। ওই দম্পতির ১২ বছর বয়সী মেয়ে পুলিশকে জানায়, সে রাতে মা–বাবার ঘরে ছিল। রাতে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তার বাবা হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে মাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। তার কান্না ও চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। ওই দম্পতির মেয়েকে পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফনের পর এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
নিহত বিউটির ভাই মতিয়ার রহমান বলেন, ‘গোপালপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের পিন্টু (৪৮) নামে এক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রি আমার বোনকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এ কারণে তাঁর স্বামী আবদুল বারেক ঘুমন্ত অবস্থায় পরিকল্পিতভাবে আমার বোনকে হাঁসুয়া দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। আমার ভাগনি এ দৃশ্য দেখে ফেললে হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় বারেক।’
ঘটনার পর থেকে পিন্টু গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, উদ্ধার করা আলামত ও মৃতদেহে জখমের নমুনা দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিউটি বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আবদুল বারেক পলাতক। তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে। লাশ দাফনের পর মামলা হবে।