এসিল্যান্ড অফিসে গোপনে ভিডিও ধারণ করায় এক ব্যক্তিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি লালপুর: নাটোরের লালপুরে ‘মানবাধিকার সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা’ পরিচয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং এসিল্যান্ড অফিসে গোপনে ভিডিও ধারণ করায় মো. মোজাদ্দেদুল হক মিঠু ইন্তাজ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে নাটোর জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আটক হওয়া মোজাদ্দেদুল হক মিঠু ইন্তাজ বড়াইগ্রামের ভবানীপুর গ্রামের মৃত নূরুজ্জামান মোল্লার ছেলে।
ইউএনও শামীমা সুলতানা জানান, গতকাল রোববার দুপুরে কথিত মানবাধিকার সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিচয়ে উপজেলা ভূমি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আসেন ইন্তাজ। প্রথমে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কথোপকথন গোপনে মোবাইলে ধারণ করেন তিনি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথোপকথন গোপনে ধারণ করার সময় বিষয়টি বুঝতে পারেন ইউএনও। এ সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কথাবার্তায় এবং তথ্যে অসংগতি দেখা দেয়। পরে ইন্তাজের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও পাওয়া যায়।
ইউএনও আরও বলেন, মিঠুর পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) যাচাই করে দেখা যায়, ওই নামের কোনো সংস্থা নেই। তিনি মিথ্যা ও ভুয়া পরিচয়পত্র বহন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও ভুয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।