রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম | ছবি: সংগৃহীত

প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাকিবুল এক লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর থানার আমলি আদালতে এই মামলা হয়। আদালতের বিচারক মো. লিটন হোসেন মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইমরান কলিম খান। তিনি বলেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর আসামিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে সাকিবুল ইসলামের সঙ্গে এক নারীর কথোপকথনের রেকর্ড গত বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই অডিওতে ‘আপত্তিকর’ বিষয় নিয়ে কথোপকথনের একাংশে সাকিবুলকে বলতে শোনা যায়, ‘শোনো, আমার চোখ চারদিকেই থাকে... এসব চিটারি করতে পারবা না। বহুত বড় চিটারি-বাটপারি কইরি আমি প্রেসিডেন্ট (জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি) হইছি...। সব চিটারের দলের সরদার আমি।’

ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নওটিকা গ্রামে। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ষড়যন্ত্রমূলক। আতিকুলের কাছ থেকে কোনো টাকা তিনি নেননি। তাঁকে জড়িয়ে অডিও ফাঁস করা হয়েছে। এটা বানানো। ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এসবে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সাকিবুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা আতিকুর রহমানের (২২) বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কালিদহ গ্রামে। মামলার বিবরণে তিনি বলছেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল আগে থেকেই তাঁর পরিচিত। সেই সুবাদে তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডহকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ জন্য ১ লাখ টাকা চান। গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে আতিকুর তাঁকে নগদ ৯০ হাজার টাকা নেন। সেদিনই মুঠোফোনের মাধ্যমে আরও ১০ হাজার দেন।

মামলায় আরও বলা হয়, সাকিবুল চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এই সময় পার হওয়ার পরও সাকিবুল চাকরি দিতে পারেননি। এ কারণে তিনি টাকা ফেরত চান। এতে সাকিবুল দুই মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সাকিবুল টাকা না দিয়ে ঘুরিয়ে বলতে থাকেন, ‘আজ দিব, কাল দিব’। এভাবে দীর্ঘ সময় তিনি টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। এরপর সবশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর থানার সামনে তিনি সাকিবুলকে দেখতে পেয়ে টাকা চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন।

আতিকুর রহমান  বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। তিনি এর বিচার চান। এ জন্যই মামলা করেছেন।