| ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি ঈশ্বরদী: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর পাবনার ঈশ্বরদীতে অধিকাংশ কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। তবে এত কড়াকড়ির মধ্যেও ঈশ্বরদী এডুকেশন কেয়ার নামে একটি কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়ে এই পরীক্ষা শেষ হবে ১ অক্টোবর। এই পরীক্ষায় ঈশ্বরদী উপজেলার ৪৫টি স্কুল, ১৬টি মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মোট পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৪০৩ জন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের জমতলা ও মিস্টার মোড় এলাকার এডুকেশন কেয়ার কোচিং সেন্টারের আলাদা আলাদা শাখা গুলো খোলা। এখানে চারটি কক্ষে তাঁদের কার্যক্রম চলছে। এতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও কোচিং করতে আসা শিক্ষার্থীদের দেখা যায়।  

এদিকে কোচিং সেন্টার আজ সকালে খোলা ছিল বলে ওই  এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন।  

কোচিং সেন্টারের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অজুহাত দিয়ে কোচিং খোলা রাখতে বলেছেন। আমাদের কিছু করার নেই। পরীক্ষার সময় কখনো এটি বন্ধ রাখা হয়নি।

ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয়তলার একটি রুমে শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষক আসার অপেক্ষায় কোচিংয়ে বসে রয়েছে। আলাপ হলে এক শিক্ষার্থী বলে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনীর প্রতি ব্যাচে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ জন করে পড়ান। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে নিয়ে সপ্তাহে ছয়দিন করে ক্লাস হয়।

কোচিং বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার বলেন, এরপরও কেউ কোচিং সেন্টার খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েস বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

মুঠোফোনে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সাবিনা ইয়াসমিন কোচিং সেন্টার খোলা রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।