পাবনা মানসিক হাসপাতাল | ফাইল ছবি

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ ও ভর্তি রোগীদের বাড়ি পাঠানোর আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রতন কুমার রায় এ আদেশ জারি করেছিলেন। সে আদেশ মোতাবেক সোমবার সকাল থেকে হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ ও ভর্তি রোগীদের বাড়ি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে বেলা দুইটার দিকে অপর এক আদেশে তিনি আগের আদেশটি প্রত্যাহার করে নেন।

এ প্রসঙ্গে রতন কুমার রায় বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। ফলে আদেশ প্রত্যাহার করা হলো। এখন থেকে আগের নিয়মে রোগী ভর্তি চলবে।

আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে খাবার সরবরাহের টেন্ডার না দিতে পেরে হাসপাতালের পরিচালক এ নির্দেশ জারি করেছিলেন। হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এস এম আবু সিনা বলেন, এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলার কারণে আদালত এ নির্দেশ দেন।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, আদালত কর্তৃক হাসপাতালের টেন্ডার কার্যক্রমের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করায় টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে রোগীদের পথ্য সরবরাহের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করা যায়নি। ভর্তি রোগীদের পথ্য বা খাবার সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ থাকবে। ভর্তি রোগীদের পর্যায়ক্রমে বাড়িতে পাঠানো হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিতে দুইভাবে রোগী ভর্তি চলে। এর মধ্যে ৩৫০ জন বিনা টাকায় চিকিৎসা নিতে পারেন। বাকি ১৫০ রোগীকে প্রতি মাসে ৮ হাজার ৫৫২ টাকা করে দিতে হয়। আজ সকাল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ৪৮০ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫০ জন ফ্রি বেডে ভর্তি রোগী। নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্রি বেডের রোগীদেরই বাড়ি পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।

পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করত। খাবার সরবরাহে জটিলতা তৈরি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়। পরে আদালত পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তখন থেকে পুনঃ টেন্টারের প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হয়।