| প্রতীকী ছবি

প্রতিনিধি চাটমোহর: পাবনার চাটমোহরে ভাতিজিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন মাদ্রাসাপড়ুয়া এক ছাত্রীর চাচা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শ্রীধরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত চাচা সেলিম রেজাকে (৪০) গুরুতর আহতাবস্থায় পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা নজরুল ইসলাম।

মামলা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের টলটলিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ও ধূলাউড়ি দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়াকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে বেশ কিছুদিন ধরে ইভটিজিং করতো একই টলটলিপাড়া গ্রামের আলামিন ও হৃদয় হোসেন নামে দুই বখাটে। বিষয়টি সুমাইয়া তার বাড়িতে জানানোর পর গত ১০ দিন আগে ইভটিজিং করার সময় হাতেনাতে দুই বখাটেকে ধরে বকাঝকা করেন চাচা সেলিম রেজা।

এরই জেরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চায়ের স্টল থেকে বাড়ি ফেরার পথে শ্রীধরপুর এলাকায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা একই এলাকার আলামিন হোসেন, হৃদয় হোসেন ও তাদের আরেক সঙ্গী (নাম জানা যায়নি) সেলিম রেজাকে একা পেয়ে কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে পালিয়ে যায়। এতে সেলিম রেজা মাথায় এবং মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হন।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় সেলিম রেজাকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেলিম রেজাকে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

চাটমোহর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আসিফ উদ্দিন খান বলেন, সেলিম রেজা নামের ওই ব্যক্তিকে ভারি জাতীয় কিছু দিয়ে মাথায় এবং মুখে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার নাকের হাড় ফেটে গেছে। সেই সঙ্গে কপালে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।   

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।