মিয়ানমারের মংডু এলাকায় মিয়ানমারের এক সেনা | ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি |
পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন মংডু শহরে গত বৃহস্পতিবার বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির জান্তা। ওই এলাকার একটি পুলিশ তল্লাশিচৌকিতে আরাকান আর্মির (এএ) হামলার পর এসব হামলা হয়েছে। খবর দেশটির গণমাধ্যম ইরাবতীর।
গত বুধবার রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি ১৯ জন জান্তা পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে সেনাচৌকিটির দখল নেয়। আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা এবং অন্য সরঞ্জামাদি জব্দ করে তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকার তিনটি বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলার জন্য যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে তারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা ইরাবতীকে বলেন, সকালে দুটি উড়োজাহাজ ও একটি হেলিকপ্টার থেকে হামলা করা হয়েছে। বিকেলে দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি হেলিকপ্টার থেকে হামলা হয়।
বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকার বলেছে, তাদের সেনারা নিরাপত্তাচৌকিটি পুনরুদ্ধারে অগ্রসর হচ্ছে। গ্রামবাসী বলছেন, প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ হয়েছে। এ সময় তাঁরা মাটিতে কম্পন অনুভব করেছেন।
আরাকান আর্মি সীমান্ত এলাকায় হামলা শুরুর পর গত ২ আগস্ট থেকে ওই এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরে লড়াই চলছে। সেনাবাহিনীর প্রায় ছয়টি সীমান্ত ঘাঁটিকে ঘিরে যুদ্ধবিমান এবং উড়োজাহাজ থেকে নিয়মিত বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০টি গোলা ছোড়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা মংডু শহর এবং পার্শ্ববর্তী বুথিডং শহরে পালিয়ে যান। বুধবার পালেতওয়ার মিয়িক ওয়া গ্রামের কাছে এক সংঘর্ষে ১০ জান্তা সেনা নিহত হন বলে দাবি করেছে আরাকান আর্মি।
রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাখাইন রাজ্যের অ্যান শহর এলাকায় একটি হাইওয়েতে আরাকান আর্মির সদস্যরা একটি জান্তা বহরে অতর্কিত হামলা চালান। এতে বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হন। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় মিয়ানমার সরকারের একটি গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে।