মিজানুর রহমান খোকন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের সচিব মিজানুর রহমান খোকন ৩০ বছর ধরে একই ইউনিয়নে চাকরি করছেন।

অথচ সরকারি চাকরির নিয়ম রয়েছে— প্রতি তিন বছর পর পর বদলি করার। কারণ সরকারি কর্মচারীরা একই স্টেশনে দীর্ঘদিন চাকরি করলে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্নসহ আত্মীয়তা ও আঞ্চলিকতা দেখা দেয়। অথচ পাকশী ইউপি সচিব রহস্যজনক কারণে একই ইউনিয়নে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরি করে আসছেন।

পাবনা জেলায় ৭৪ ইউনিয়নে ৭৪ সচিব আছেন। তারা কেউ-ই এত দীর্ঘ সময় একই স্টেশনে চাকরি করেননি।

জানা গেছে, মিজানুর রহমান পাবনা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির সভাপতি। তিনি সভাপতি পদের নাম ভাঙিয়ে একই স্টেশনে চাকরি করে যাচ্ছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাকেসহ ৫০ জনকে একযোগে বদলি করেন। তিনি জেলা প্রশাসকের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে স্টে অর্ডার (স্থিতি অবস্থা) চেয়ে এক রিট আবেদন করেন। রিটের কারণে জেলা প্রশাসকের আদেশটি স্থগিত হয়ে যায়।

পরে ২০১৮ সালে রিটটি খারিজ হয়ে গেছে। তার পরও তাকে কেন বদলি করা হচ্ছে না তা রহস্যজনক। এতে জেলা প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্নসহ এলাকার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান খোকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি চাকরির শুরু থেকে পাকশী ইউনিয়ন পরিষদে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে কেউ আসতে চায় না। কাজের চাপ বেশি। ফলে আমি থাকি। আমার আর তিন বছর আছে চাকরির মেয়াদ।  

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, আমি ফাইলটা না দেখে কিছু বলতে পারছি না।