মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ছবি: পিআইডি |
নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে দেশে খাদ্যশস্যের (চাল ও গম) পর্যাপ্ত মজুত আছে। যে পরিমাণ খাদ্যশস্য গুদাম থেকে মানুষের জন্য যাবে, সেই পরিমাণ চাল আমদানি করার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তিও করা হয়েছে। তারপরও বিকল্প আরও দু-একটি জায়গা থেকে খাদ্যশস্য কেনার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো কারণে আমদানির জন্য নির্ধারিত পাঁচটি দেশের কেউ যদি খাদ্যশস্য দিতে অপারগ হয়, তখন যাতে কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয়। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত কিছু খাদ্যশস্যও কিনে সহনীয় মাত্রায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বর্তমানে রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে খাদ্যশস্য কেনা হচ্ছে। রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনো অসুবিধা হবে না বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে দেশে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের মতো খাদ্যের মজুত আছে। গত দু-এক দিনে চার-পাঁচ টাকা করে চালের দাম কমেছে। খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনার ফলে অনেক মানুষ বাজার থেকে সরে গেছেন। এটি ভালো ফল দিচ্ছে। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি যেহেতু দুই মাস এবং পরবর্তীকালে আরও তিন-চার মাস পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে জন্য পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে। এ জন্য গুদাম থেকে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য যাবে, সেই পরিমাণ চাল সংস্থান করতে চুক্তিও হয়েছে এবং কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। ফলে নভেম্বর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের আশঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় আছে। এরপর আমন ধানও চলে আসবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বর্তমানে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের মতো খাদ্যের মজুত আছে। গত দু-এক দিনে চার-পাঁচ টাকা করে চালের দাম কমেছে। খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনার ফলে অনেক মানুষ বাজার থেকে সরে গেছেন। এটি ভালো ফল দিচ্ছে। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি যেহেতু দুই মাস এবং পরবর্তীকালে আরও তিন-চার মাস পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে জন্য পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে। এটির জন্য চুক্তিও হয়েছে এবং কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের আশঙ্কা থাকলেও বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় আছে। এরপর আমনও চলে আসবে। তারপরও আরও দু-একটি জায়গা থেকে খাদ্যশস্য আনার ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে। কারণ, কার্যাদেশ দেওয়ার পরও কেউ যদি খাদ্যশস্য দিতে ব্যর্থ হয়, তখন যাতে অন্য জায়গা থেকে কেনা যায়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য গুদাম থেকে যাবে, সেই পরিমাণ খাদ্যশস্য অতিরিক্ত কেনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগাম নিরাপত্তার জন্য এটি করা হয়েছে। আমদানির জন্য যে চুক্তি এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে আর কোনো ঘাটতি হবে না।
সম্প্রতি বেশ কয়েকজন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্রাম এলাকায় এখন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় আমনের সেচকাজ ভালো হচ্ছে।
মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইনের খসড়া এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য একটি সহযোগিতা চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা’র নাম পরিবর্তন করে ‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক নীতিমালা’ করার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।