বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। রোববার পাবনা জেলা শহরের আবদুল হামিদ সড়কে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনা জেলা শহরের একটি রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি খেয়ে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৪২ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের কলেজ হোস্টেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে ওই কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জেলা শহরের আবদুল হামিদ সড়কে মানববন্ধন করেছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় তাঁরা শহরের ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউস’ থেকে বিরিয়ানি কিনে আনেন। রাতে সেই বিরিয়ানি খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. কামাল হোসেন বলেন, রাতে বিরিয়ানি খাওয়ার পরেই একে একে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা ‘ফুড পয়জনিং’ হয়েছে বলে জানান।

শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাতে কলেজের আবাসিক ছাত্রী হলে বিশেষ খাবারের আয়োজনের অংশ হিসেবে পাবনা শহরের ‘পুরান ঢাকার নান্না বিরিয়ানি হাউস’ থেকে ৪২ জন ছাত্রীর জন্য ৪২ প্যাকেট বিরিয়ানি কেনেন। রাতে বিরিয়ানি খাওয়ার পর থেকেই তাঁরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা (আরএমও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাতে ছাত্রীরা প্রচণ্ড বমি করছিলেন। শারীরিকভাবে তাঁরা খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। সবাইকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে রোববার বিকেলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে তাঁরা অসুস্থ পড়েছিলেন।

বিরিয়ানি হাউসটির ব্যবস্থাপক সজীব হোসেন বলেন, ‘শনিবার রাতে আমরা ২০০ মানুষের বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম। অন্যদের কেউ এমন কোনো অভিযোগ করেননি। শিক্ষার্থীরা কীভাবে অসুস্থ হয়েছেন আমাদের জানা নেই।’

পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ক্যাম্পাসে পাঠানো হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।