চা–শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরির দাবি মানার আহ্বান ৯ সংগঠনের

চা–পাতা তুলছেন এক নারী চা-শ্রমিক। লাক্কাতুরা চা-বাগান, সিলেট | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: চা–শ্রমিকদের ৩০০ টাকা করে মজুরি দেওয়ার দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নয়টি সংগঠন। রোববার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় তারা।

৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে টানা ১৯ দিন আন্দোলনের পর আজ চা–বাগানের কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকেরা। শনিবার রাতে মালিক পক্ষের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরি দিতে রাজি হন বাগানমালিকেরা। এরপর চা-বাগানগুলোয় চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যাওয়ার ঘোষণা দেন চা-শ্রমিকেরা।

নয়টি সংগঠন বলেছে, ১৭০ টাকা মজুরি বর্তমান বাজারদরের তুলনায় যথেষ্ট নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ আগস্ট থেকে চা–শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে যে কর্মবিরতি এবং পরবর্তী সময়ে ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চালিয়ে আসছিলেন। সেই মজুরির দাবিও ছিল প্রকৃত মজুরির চেয়ে অনেক কম।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারপ্রধান ১৩ জন চা–বাগানমালিকের সঙ্গে বৈঠক করে মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছেন অথচ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো বৈঠকই করেননি। ফলে মজুরি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বক্তব্য একভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।

নয়টি সংগঠনের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ৯ সংগঠনের সমন্বয়ক ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, জাতীয় গণফ্রন্ট সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, গণমুক্তি ইউনিয়ন আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদ নাসু, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ সভাপতি মাসুদ খান, বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সারোয়ার মুর্শেদ ও কমিউনিস্ট ইউনিয়ন আহ্বায়ক ইমাম গাজ্জালী।