জব্দ করা অবৈধ ওষুধ ও মালামাল বাড়ির ছাদে নিয়ে ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার বিকেল পাবনা শহরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি পাবনা: বাসাভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরির কারখানা। তৈরি করছিলেন বিভিন্ন নামের ওষুধ। এই ওষুধ কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাতেন সারা দেশে। মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা জেলা শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এমনই এক ওষুধ তৈরি কারখানার সন্ধান পেয়েছে। পরে কারখানাটি বন্ধ করে ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কারখানা মালিক শরিফুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল হাসনাত। এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলা পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।
অভিযান দলের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রিবার্থ ইউনানি ড্রাগসহ বিভিন্ন নামে অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি করে আসছেন। এর আগেও তাঁর কারখানায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তিনি কারখানা বন্ধ করে জেলা শহরের আবদুল হামিদ সড়কের ছাত্তার বিশ্বাস মার্কেটের পঞ্চম তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে নতুন করে অবৈধ ওষুধ তৈরি শুরু করেন। বিভিন্ন নামে তৈরি করা এসব ওষুধ তিনি কুরিয়ারের মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই বাসায় অভিযান চালান। অভিযানে বাসাটিতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ওষুধ, ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। এ সময় কারখানার মালিক শরিফুল ইসলামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অবৈধ ওষুধ তৈরির কথা স্বীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ সময় তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্তি পান।
পরে ওষুধ ও মালামাল জব্দ করে বাড়িটির ছাদে নিয়ে তা ধ্বংস করা হয়। একই সঙ্গে কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল হাসনাত বলেন, কোনো ধরনের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই শরিফুল ইসলাম এসব ওষুধ তৈরি করতেন, যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তবে আদালতের কাছে তিনি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার তিনি একই অপরাধ করলে বড় ধরনের শাস্তির আওতায় আসবেন। অবৈধ এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।