ফাইল ছবি |
পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদী বাজারে ভালো মানের দেশি কাঁচা মরিচের দাম এক দিনের ব্যবধানে অর্ধেক কমে প্রতি কেজি ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর মধ্যম মানের কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে।
এক দিন আগে শুক্রবার উপজেলা সদরের পাইকারি পর্যায়ে ভালো মানের কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৪০ ও মধ্যম মানের ১২০ টাকা। বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা।
শনিবার ঈশ্বরদী শহরের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর কাঁচা মরিচ উঠেছে। সকালের দিকে ভালো মানের দেশি কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও মধ্যমা মানের ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বেলা যত বেড়েছে, মরিচের জোগানও বেড়েছে, কমেছে দাম। দুপুর ১২টার পর ভালো মানের কাঁচা মরিচ ৯০-১০০ ও মধ্যম মানের ৮০-৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে এবার কাঁচা মরিচের চাষাবাদ বিলম্বিত হয়েছে। এতে সময়মতো খেত থেকে কাঁচা মরিচ ওঠেনি। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে দুই দিন ধরে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করে।
শনিবার সকালে ঈশ্বরদী পৌর সুপার মার্কেট এলাকার কাঁচা বাজারে দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে বসেন সাহাপুর ইউনিয়নের কদিমপাড়া গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন (৫২)। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে ক্রেতার আশায় দুপুর পর্যন্ত বসে ছিলেন তিনি। দুপুরের দিকে বাজারের আড়তদার মোজাম্মেল হক প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম হাঁকেন ৬০ টাকা। আর কৃষক আফাজ চান ৯০ টাকা। শেষে ৮৫ টাকায় রফা হয়।
আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘শুক্রবার এই হাটত এক কেজি কাঁচা মরিচ বেচনু ১৪০ টেকা দরত, আজ বেচনু ৮৫ টেকায়।’
কাঁচা মরিচের দাম কমায় লোকসান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সবজির ব্যাপারী লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের নূরুল্লাপুর গ্রামের মিনাদুল ইসলাম (৪০)।
এদিকে শনিবার খুচরা দোকানে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজারের সবজির খুচরা ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন, পাবনার আতাইকুলা, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও বগুড়ার মহাস্থান থেকে আসা মরিচ পরদিন সকালে পাইকারি বিক্রি হয় ঈশ্বরদী শহরের বাজারে। এরপর তা আসে খুচরা দোকানে। এসব জায়গায় কাঁচা মরিচের দাম কমলে এক দিন পর খুচরা পর্যায়েও দাম কমে মরিচের।