হাসপাতালের কক্ষে রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ, ভিডিও ছড়িয়েছে ফেসবুকে

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর একটি মুহূর্ত

প্রতিনিধি শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগের ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ রোববার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ২ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এক যুবককে মারধর ও লাথি মারতে দেখা গেছে।

তবে চিকিৎসক আকরাম এলাহি বলেছেন, ১৫-১৬ দিন আগের ঘটনা। এক রোগীর স্বজন তাঁর পিয়নকে মারধর করে কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁদের শান্ত করতে এগিয়ে গেলে ওই যুবক তাঁকে কামরাতে আসেন। তখন তিনি সরে আসেন। ওই সময় একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে। এটা হলো মূল ঘটনা। ভিডিওটা সঠিক নয়। কেউ তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ভিডিওটি ছড়িয়েছেন। তা ছাড়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাৎক্ষণিক ঘটনাটি মিটমাট করে ফেলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জন ও চিকিৎসা কর্মকর্তা আকরাম এলাহি নিচতলার একটি কক্ষে বহির্বিভাগের রোগী দেখেন। ১ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ৫০-৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাঁর কক্ষের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। দ্রুত ভেতরে প্রবেশ করা নিয়ে তখন হাসপাতালের এমএলএসএস আতাউর রহমানের সঙ্গে ওই রোগীর ছেলের কথা–কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। বিষয়টি চিকিৎসক আকরাম এলাহি জেনে ক্ষুব্ধ হন। ওই রোগী ও তাঁর ছেলেকে কক্ষে আটকে ছেলেকে মারধর করেন। অন্য রোগীর মধ্যস্থতায় ওই রোগী ও তাঁর ছেলে ছাড়া পান।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, চিকিৎসক আকরাম এলাহি এক যুবককে কিল-ঘুষি মারছেন। আর ওই যুবক আকুতি করে বলছেন, ‘আমার বাবাকে অপমান করায় মাথা ঠিক ছিল না। আমার ভুল হয়েছে। আমাকে মাফ করে দেন।’ এ কথা বলে ওই যুবক মেঝেতে বসে আকরাম এলাহির পা জড়িয়ে ধরেন। তখন আকরাম তাঁকে লাথি দেন।

১ আগস্ট হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগীর নিবন্ধন খাতা খুঁজে ওই রোগী ও তাঁর ছেলের পরিচয় জানা যায়নি।

হাসপাতালের এমএলএসএস আতাউর রহমান বলেন, ওই দিন অনেক রোগীর চাপ ছিল। চিকিৎসকের কক্ষের সামনে অনেক ভিড় ছিল। এক রোগীর ছেলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেন। ঘটনাটি তিনি চিকিৎসককে জানান।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সোবহান বলেন, একজন রোগীর স্বজন হাসপাতালের কর্মীকে মেরেছেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে, এমন কথা শুনেছেন। এরপর আর আক্রান্ত ব্যক্তিকে খুঁজে পাননি। তাঁরাও কোনো অভিযোগ না করায় বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।