চাল | ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় এ চাল বিক্রি হবে। এ কর্মসূচির আওতায় আগে ১০ টাকা দরে প্রতি কেজি চাল পাওয়া যেত। গত বাজেটে এর দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা কেজি করা হয়।

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিক্রির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, সেই সঙ্গে খোলাবাজারে (ওএমএস) বিক্রির জন্য চালের বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এতে চার থেকে পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে ২ হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে। তাঁরা প্রতিদিন দুই টন করে চাল বিক্রি করবেন। আগে একজন ডিলার এক টন করে চাল পেতেন। এবার প্রত্যেক ডিলারকে প্রতিদিন দুই টন করে চাল দেওয়া হবে।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে। এ কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন মজুমদার বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি, চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে। আমাদের সরকারি মজুত আছে, আমরা মানুষের জন্যই মজুত করি। যাঁরা এ চাল নেবেন, তাঁদের বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি।’

পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে মাথায় রেখে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে খাদ্য অধিদপ্তর। কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পর্যায়ে বসবাসরত বিধবা, বয়স্ক, পরিবারপ্রধান নারী, নিম্ন আয়ের দুস্থ পরিবারপ্রধানদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়ার জন্য একটি তালিকা রয়েছে।