পিএসজি তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার | ছবি: টুইটার

খেলা ডেস্ক: ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় লিওনেল মেসি প্রথম জায়গা করেন নেন ২০০৬ সালে। সেই থেকে টানা ১৫ বার (করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে পুরস্কারটি দেওয়া হয়নি) ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসির নাম ছিল। এবারই প্রথম ইউরোপের বর্ষসেরা ফুটবলার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও ঠাঁই পাননি আর্জেন্টাইন তারকা।

ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসির পিএসজি সতীর্থ নেইমারও। তবে ৩০ জনের তালিকায় জায়গা হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর।

২০১৮ সাল ছাড়া ২০০৭ থেকে প্রতিবছরের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের সেরা তিনে থাকা মেসির অবশ্য এবার ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় না থাকার যথেষ্ট কারণও আছে। বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে নাম লেখানোর পর গত মৌসুমটা ভালো কাটেনি রেকর্ড সাতটি ব্যালন ডি’অর জেতা মেসির।

গত মৌসুমে পিএসজির হয়ে মাত্র ১১ গোল করেছেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি। নেইমারের গত মৌসুমটা বাজে কেটেছে। পুরো মৌসুমে পিএসজির হয়ে ২৮ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ১৩ গোল।

গত বুধবার আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে রিয়ালের উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা জেতা ম্যাচেও একটি গোল করেছেন বেনজেমা। এটি ছিল রিয়ালের হয়ে তাঁর ৩২৪তম গোল। এই গোলে রাউল গঞ্জালেসকে পেছনে ফেলে রিয়ালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেছেন তিনি।

আগামী ১৭ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম। রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি অবশ্য ঘোষণা করে দিলেন এখনই, ‘সে (বেনজেমা) ব্যালন ডি’অর জয়ের পথে। কোনো সন্দেহ আছে? আমার কোনো সন্দেহ নেই।’

এবারের ব্যালন ডি’–অর পুরস্কার জয়ে বেনজেমার সঙ্গে লড়াইয়ে আছেন তাঁর রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ থিবো কোর্তোয়াও। গত মৌসুমে রিয়ালকে লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে গোল পোস্টের নিচে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। এ ছাড়া আছেন বেনজেমার আরও তিন সতীর্থ লুকা মদরিচ, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও কাসেমিরো।

বেনজেমার সঙ্গে ব্যালন ডি’অর জিততে এ ছাড়া লড়াই করবেন সাদিও মানে, রবার্ট লেভানডফস্কি, সাদিও মানেরা। ৩০ জনের তালিকায় সর্বোচ্চ সাতজন জায়গা পেয়েছেন গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের রানার্সআপ দল লিভারপুল থেকে।