রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ বিকেলে বিএনপির সমাবেশের সময় ভিআইপি রোড ধরে আকাশে উড়ছিল একটি ড্রোন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ড্রোনের নাম শুনলেই আমরা ভয় পাই। কেন ভয় পাই? আমরা দেখেছি, এই ড্রোন দিয়ে অন্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, এই ড্রোন দিয়ে যারা গণতন্ত্র চায়, লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে তাদের কীভাবে হত্যা করা হয়।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির সমাবেশ চলছিল। এ সময় ভিআইপি রোড ধরে আকাশে উড়ছিল একটি ড্রোন। সেটি বিএনপির নেতা-কর্মীদের মনে কৌতূহল জাগায়। পরে ড্রোন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে আকাশে ওড়া ড্রোনটি নিয়ে প্রথম কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেন, আকাশে একটি ড্রোন উড়ছে। তারা দেখছে আমরা কী করছি। আপনারা দেখিয়ে দেন...।’

পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা অনেকে ড্রোনের দিকে তাকাচ্ছিলেন। আমি এই ড্রোনের সঙ্গে যাঁরা জড়িত আছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা যে এগুলো চালাচ্ছেন, এগুলো তো বেআইনি। তখন বলা হলো, না, কতগুলো ড্রোন আছে যেগুলো পাঁচ পাউন্ডের নিচে, সেগুলোর জন্য কোনো অনুমতি লাগে না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কয়েকটা খবর আমার চোখে পড়েছে। হঠাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরান থেকে ২১টি ড্রোন আমদানি করেছে এবং তারা বলেছে, এই ড্রোন নিয়ে এসে তারা ভাসানচরে পরীক্ষা করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে গিয়েছিলেন, দেখেছেন যে ড্রোন কীভাবে চলে।’

ওই ড্রোনগুলো সরকার কী করবে—এমন প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, ড্রোন দিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের মনিটর (নজরদারি) করবে। আসলে তারা এগুলো নিয়ে এসেছে এই দেশের মানুষকে মনিটর করার জন্য, নিয়ে এসেছে যারা গণতন্ত্র চায়, তাদের মনিটর করার জন্য।

বিএনপির সমাবেশ চলাকালে ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া রাতে মুঠোফোনে  বলেন, ‘পুলিশ কোনো ড্রোন ওড়ায়নি। সমাবেশের ভিডিও ধারণ করতে বিএনপির নেতা–কর্মীরা সেখানে ড্রোন উড়িয়েছেন। যাঁরা এই কাজ করেছেন, তাঁদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’