পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল উল্টো তাদের দিকেই নিক্ষেপ করছেন এক বিক্ষোভকারী। রাজধানী ফ্রিটাউনে, ১০ আগস্ট | ছবি: রয়টার্স

পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক:  পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে জ্বালানিসংকট ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ–সহিংসতায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পুলিশের ছয় কর্মকর্তাও রয়েছেন।

রাজধানী ফ্রিটাউনসহ অন্তত তিনটি শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রক্তক্ষয়ী ওই বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত কারফিউ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

৮০ লাখের মতো মানুষের দেশ সিয়েরা লিওন। সেখানকার বাসিন্দাদের অর্ধেকেরই দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস। সম্প্রতি মৌলিক পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। বুধবার সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একটি ভিডিওতে ফ্রিটাউন শহরে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করতে দেখা গেছে। সংঘর্ষের বেশ কিছু ছবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভকারীদের পাথর নিক্ষেপ ও টায়ারে আগুন দিতে দেখা গেছে। সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তাদের রাস্তায় টহলের ছবিও এসেছে।

সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউনে এ ধরনের অস্থিরতা খুব একটা ঘটে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য শহরেও বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ-সহিংসতায় গুটিকয়েক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক উইলিয়াম ফায়িয়া সেল্লু বলেছেন, বুধবারের সহিংসতায় ফ্রিটাউনে দুজন এবং উত্তরাঞ্চলীয় কামাকওয়ি শহরে তিনজন ও মাকেনি শহরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

অপরদিকে ফ্রিটাউনে সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কামাকওয়ি শহরে চারজন এবং মাকেনিতে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

বুধবারের এই রক্তপাতের পর বৃহস্পতিবার রাজধানী শান্ত রয়েছে। আবারও অস্থিরতা শুরু হওয়ার আশঙ্কায় বাসিন্দারা ঘরের বাইরে বের হননি। দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।