বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গমাতার অবদান অপরিসীম: এমপি নুরুজ্জামান বিশ্বাস

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে ঈশ্বরদী শহরের ষ্টেশন রোড আ'লীগের দলীয় কার্যালয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাসসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অপরিসীম অবদান রয়েছে বলে  মন্তব্য করেছেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর।

তিনি ছিলেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদানকারী। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন।

সোমবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আ'লীগের উদ্যোগে মহীয়সী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নায়েব বিশ্বাসের সভাপতিত্বে করেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুজ্জামান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান নারী আতিয়া ফেরদৌস কাকলি, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক মুরাদ মালিথা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন পিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মল্লিক মিলন মাহমুদ তন্ময়, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবির হোসেন শৈশব, সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসানসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবনযাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কাছে ছুটে আসতেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা জানতে। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পৌঁছে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতেন।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।  

এর আগে, ঈশ্বরদী শহরের ষ্টেশন রোড দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে পাবনা-৪ আসনের সংসদ, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।