মাদ্রাসাশিক্ষককে মারধরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি নাটোর: মাদ্রাসাশিক্ষককে মারধরের ঘটনায় নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ওরফে কালুকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সদর উপজেলার হযরতপুরের গোলাম ইয়াছিনিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক জাফর বরকত (৫২) বুধবার রাতে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছিলেন।

এজাহার ও নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান এবং তাঁর ছেলে মো. জয়সহ প্রায় ১৫ জন ওই মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষকে খুঁজতে থাকেন। ওই সময় অধ্যক্ষ বাইরে থাকায় তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষ ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ করে গালিগালাজ করেন। এ সময় শিক্ষক জাফর বরকত তাঁদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করেন। এতে তাঁরা আরও ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের সহযোগীরা লাঠি দিয়ে ওই শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেন। পরে ছাত্র-শিক্ষকদের সামনে ওই শিক্ষককে মারতে মারতে তুলে নিয়ে যান চেয়ারম্যানের সহযোগীরা।

পরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ গিয়ে জাফর বরকতকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। ঘটনার পর চেয়ারম্যান আত্মগোপনে যান। বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাটোর শহরের তেবাড়িয়া এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ বলেন, মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাঁকে বিচারকের সামনে হাজির করার প্রস্তুতি চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।