পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে জরুরি প্রয়োজনে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেলে যাতায়াত করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অনুমতি লাগবে | ছবি: সংগৃহীত |
নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে জরুরি প্রয়োজনে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেলে যাতায়াত করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে পুলিশের লিখিত অনুমতি
লাগবে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গতকাল বুধবার ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, লিখিত অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ফরম পাওয়া যাবে মহানগরগুলোর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে। জেলার ক্ষেত্রে এই ফরম পাওয়া যাবে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে। এ ছাড়া প্রতিটি জেলার থানা ও তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে পাওয়া যাবে এই ফরম।
অবশ্য এ বিষয়ে পুলিশ কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন্স ও মিডিয়া) মো. হায়দার আলী খান বলেন, যদি মনে হয় আবেদনকারীর অন্য জেলায় মোটরসাইকেলে গমন করা প্রয়োজন, সে ক্ষেত্রে তিনি অনুমতি পাবেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করার কথা বলে জাতীয় মহাসড়কে ৭ জুলাই থেকে পরবর্তী সাত দিন মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এরপর গতকাল পুলিশের ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, যৌক্তিক কারণে মোটরসাইকেলে গমনাগমন দরকার হলে ডিসি অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। ট্রাফিকের সব বিভাগের ডিসিদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চলাফেরা করা মানুষের নাগরিক অধিকার। একজন মানুষ যৌক্তিক কারণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেই পারেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিআরটিএ বলেছে মোটরসাইকেল চলবে না। এ বিষয়ে তাদের সার্কুলার আছে। সেটি বাস্তবায়নে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। চলাচলের বিধিনিষেধ আরোপ করতে হলে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সামনে রেখে করাটাই যৌক্তিক। তাই তাদের কাছে প্রতিনিধি চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশ তাদের সহায়তা করবে।
ত্রৈমাত্রিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত একজন পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা বলেন, আইজিপি বলেছেন, মোটরসাইকেলে গমনাগমনে নাগরিকদের অনুমতি নিতে হবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘বুদ্ধিমত্তা’ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন তিনি। কারণ, কখনো কখনো জরুরি প্রয়োজনে নাগরিকদের বাধ্য হয়েই মোটরসাইকেলে গমনের প্রয়োজন হতে পারে।