পদ্মা সেতুতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ রাখা হয়েছে। রোববার রাতে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ: পদ্মা সেতুতে সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক উল্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন। পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আলমগীর বলেছেন, গ্যাস সিলিন্ডারবাহী তিন টনের একটি ছোট ট্রাক ঢাকার দিকে আসছিল। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদ্মা সেতুর মাঝামাঝি এসে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই দুর্ঘটনার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা সেতুর এক পাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
সে সময় সেতুতে আটকা পড়া জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাজিরা প্রান্ত থেকে রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে তাঁরা সেতুতে ওঠেন। এরপর দুর্ঘটনা ঘটলে সেতুর ঢাকামুখী লেন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়ার পর রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে তাঁরা সেতু পার হন।
দুর্ঘটনার পর ট্রাকের আরোহী পাঁচজনকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক মো. আসাদুজ্জামান জানান, তাঁদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। অপর তিনজনের অবস্থাও গুরুতর। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ দুর্ঘটনায় যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন মো. কাউসার (২৩) ও মো. রাজু খন্দকার। কাউসার শরীয়তপুরের বাসিন্দা। আর রাজুর বাসা ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায়।
গত ২৬ জুন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ওই দিনই পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুরান ঢাকার দুই তরুণের মৃত্যু হয়। এরপর পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।