চাল মজুতের মামলায় স্কয়ারের অঞ্জন চৌধুরীর আগাম জামিন

হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাল জব্দের মামলায় স্কয়ার গ্রুপের অঞ্জন চৌধুরীকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহ পর তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। 

সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, এত ভয়াবহ অভিযোগ, অথচ দুর্বল আইনে মামলা দায়ের। যারা মামলা দায়ের করলো তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারতো। আলোচনা করে দায়ের করলে এমন হতো না।

আদালত বলেন, আমাদের হাত আইনে বাধা। আমরা সবই বলি কিন্ত কিছুই করতে পারছি না।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন  ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, এই মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হয়নি। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে মামলাটি করা হয়েছে, যার সর্বোচ্চ সাজা মাত্র তিন বছর। এ নিয়ে আদালত উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, এত ভয়াবহ অভিযোগ, অথচ মামলা যারা দায়ের করলো তারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারতো। আলোচনা করে মামলা দায়ের করলে এমন হতো না।

আদালত বলেন, আমাদের হাত আইনে বাধা। আমরা সবই বলি কিন্ত কিছুই করতে পারছি না।

তিনি বলেন, আমি নিজেও জানতামনা মামলাটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনে দায়ের করা হয়েছে। আমি আদালতে বলেছি এখানে ভুলভাবে মামলাটি করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করা যেত, যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

তিনি বলেন, যারা এফআইআর করেছে তারা আসামীদের রক্ষা করেছে। আমাদের কি করার আছে, হাইকোর্ট কি করবে, কি করবেন বিচারকরা?   

এর আগে গত ১ জুন দিনাজপুর সদরে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল জব্দ করে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মিলের ইনচার্জকে। তবে মিলের অনুমোদন রয়েছে মাত্র ৩১২ টন।  সে হিসেবে মিলে বেশি মজুত ছিল চার হাজার টনের বেশি চাল।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায় বাদী হয়ে মিলের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী ও মিলের ইনচার্জ জায়েদের নামে একটি অভিযোগ দেন। মিলের ইনচার্জকে পুলিশে দেওয়া হয়। 

এত পরিমাণ চাল জব্দ হওয়ায় এটির বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা সম্ভব না হওয়ায় অভিযোগটি কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পাঠানো হয়। এ ছাড়া মিলের ইনচার্জ জায়েদকে পুলিশের  হেফাজতে নেওয়া হয়।  জব্দ চালের বাজার মূল্য প্রায় ৪১  কোটি টাকা।