ঈশ্বরদীতে ছয় দফা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আলোচনাসভা

ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় অতিথিবৃন্দ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএসআরআই মিলনায়তনে  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে পাবনা ঈশ্বরদীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিষদের আহবায়ক আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলি মালিথা। 

আলোচনায় মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিই ছিল না। এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রিম জন্ম সনদ। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফার পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলনের সূচনা ও পরবর্তীতে সেই আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলনে রূপ নেয়। এসময় তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক শহীদুল হক শাহিনের সঞ্চালনায় আলোচনা অংশ নেন উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি আকরাম আলী খান, সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আইনুল হক, বিএসআরআই এর উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কুয়াশা মাহমুদ, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, সভাপতি স্বপন কুমার কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদ আলী মালিথা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খোন্দকার মাহাবুবুল হক দুদু, প্রেসক্লাব সদস্য আতাউর রহমান বাবলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম বিশ্বাস, উপজেলা শিক্ষক  সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুল হক, কলেজ শিক্ষক মতিয়ার রহমান ও  উপাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।  

সভাপতির বক্তব্যে আতিয়ার রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ঐতিহাসিক ৭ জুন বাঙালির স্বাধীনতা, স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক, অবিস্মরণীয় একটি দিন। ঈশ্বরদী বঙ্গবন্ধু পরিষদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করবে। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রতিবাদ জানিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহবান জানান।

সাড়ে চার ঘন্টাব্যাপী চলমান এ আলোচনা সভায় আইনজীবী, স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারসহ নিহত বীরসূর্যসন্তানদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।  আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে  বিক্ষোভ করা হয়।