মারধর | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি কক্সবাজার: কক্সবাজার সদরে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের বেদম পিটুনির শিকার হয়েছেন এক ভাই। এ ঘটনার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরে জড়িত ছিলেন তিন যুবক। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবক হলেন মো. রায়হান ও মো. আরমান। হামলাকারীদের মধ্যে মো. জামাল হোসেন পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বোরকা পরা এক তরুণীকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে তাঁকে জড়িয়ে আছেন খালি গায়ে এক যুবক। তাঁকে এক যুবক গাছের ডালজাতীয় কিছু একটা নিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। যুবকটিকে লাথিও মারা হচ্ছে। পরে খালি গায়ের আরেক যুবক এসে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন তরুণীকে জড়িয়ে থাকা যুবককে। তৃতীয় আরেক যুবক হামলাকারীদের সহায়তা করছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বয়স্ক এক ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভুক্তভোগী তরুণী সহায়তা চাইলেও হামলাকারীদের ভয়ে তেমন সাড়া দেননি।
ওই তরুণী ও তাঁকে জড়িয়ে ধরে রক্ষা করা তরুণ সম্পর্কে ভাই–বোন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী দুজনের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় মারধরে জড়িত থাকা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ছোট বোনকে উত্ত্যক্তকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে মারধরের শিকার ভাই বলেন, ‘আমার বোন মামার বাড়ি যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে প্রকল্পের বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌঁছালে জামাল, রায়হান ও আরমান নামের তিন যুবক পথে আটকে নোংরা ভাষায় কথা বলে। বাধা পেয়ে আমার বোন ফিরে আসতে চাইলে বখাটেরা বারবার পথ আটকাচ্ছিল। আমি দৌড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। বাজে আচরণ করার কারণ জানতে চাইলে বখাটেরা লাঠি দিয়ে আমার বোনকে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে বোনকে বাঁচাতে আমি জড়িয়ে ধরি। হামলাকারীরা একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিল-ঘুষি ও লাথির পাশাপাশি লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে।’
মামলার বাদী ও দুই ভাইবোনের মা বলেন, জামাল, রায়হান, আরমানসহ অজ্ঞাতনামা তিন-চারজন তাঁর মেয়ের পথ আটকে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করতে থাকে। পরে ভাই প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তাঁদের মুঠোফোন ভাঙচুর ও প্রাণনা শের হুমকি দেয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান ওই মা।