সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের দেখতে চট্টগ্রামে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকে তাঁদের ওপর হামলা হয়।
পরে জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রলীগের হামলায় তিনিসহ অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ, সদস্যসচিব ফরহাদ জামান, ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, জসীম উদ্দিন এবং সদস্য কামরুন নাহার।
জোনায়েদ সাকিসহ একাধিক নেতা-কর্মী নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সম্প্রতি বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে সাত দল ও সংগঠনকে নিয়ে ‘গণতন্ত্র মোর্চা’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ দুপুরে ওই সাত দল ও সংগঠনের নেতারা সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণস্থল বিএম কনটেইনার ডিপো দেখতে যান। সেখানে জোনায়েদ সাকি বলেন, ডিপোতে এত বড় একটি দুর্ঘটনাকে নানা ধরনের রাজনৈতিক প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনাটিকে নাশকতা বলে কোনো একটি পক্ষের ওপর দায় চাপানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড থেকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তাঁরা। সেখানে দূর থেকে আহত ব্যক্তিদের দেখেন তাঁরা। পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে মূল ফটকে রাখা গাড়িতে উঠতে যান। সেখানে হামলা হয়।
জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের বলেন, গাড়ি ছাড়ার আগ মুহূর্তে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা হয়েছে। তাঁরা গাড়ি পুরোপুরি ভেঙে ফেলেন। কয়েক দফায় হামলা করেছেন তাঁরা। জ্যেষ্ঠ নেতাদেরও ছাড় দেননি। বেধড়ক মারধর ও হামলায় তাঁর নাক ফেটে গেছে। হাতও কেটে গেছে। এ ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে জানান জোনায়েদ সাকি।
মারধরের অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় ছাত্র ও যুবকেরা জোনায়েদ সাকিদের প্রতিহত করেছেন।