ঈশ্বরদীতে সওজের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। বুধবার ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের আলহাজ্বমোড় এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদীতে আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্তের জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্রলীগের কার্যালয়সহ চার শতাধিক কাঁচা-পাকা স্থাপনা। বুধবার থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।

বুধবার দুপুর তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাশে উপেজলা সদরের পোষ্টঅফিস থেকে আলহাজ্বমোড় এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যালয় ও যুবলীগের কার্যালয়ের বারান্দাসহ চার শতাধিক দোকানপাট বুলডোজর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব স্থাপনা ও দোকানের মালিক ভেঙে ফেলা ঘরের ইট, কাঠ, লোহার রড, টিনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কুড়িয়ে নিচ্ছেন। কয়েক শ মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান দেখছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আইন কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান মিয়া এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।  পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যরা এতে সহযোগিতা করেন।

আলহাজ্ব মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন চুন্নু বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে কয়েকশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়বে। তারা সড়ক ও জনপথের অব্যবহৃত জায়গায় ছোট ছোট দোকান ঘর নির্মাণ করে জীবিকা নির্বাহ করছিল।

পৌরসভার কাউন্সিলর ইউসুফ আলী প্রধান বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য আরও দু-একদিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। উচ্ছেদ অভিযানে দোকানপাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আরমান বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে ছাত্রলীগ কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের আসবাবপত্র আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়।

বেলা একটার দিকে অভিযানস্থল পরিদর্শন করেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা। এ সময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন,  এর আগে একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। এবার সড়ক উন্নীতকরণ কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় অভিযান ঠেকানো সম্ভব হয়নি।

পাবনা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বরত) আবুল মনসুর আহমেদ বলেন, ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক সড়কের উন্নীতকরণ কাজের অংশ হিসেবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এরআগে অবৈধ স্থাপনার মালিকদের নোটিশ ও মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত প্রক্রিয়া। যারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবসা করবে, আমরা তাদের উচ্ছেদ করব।