হারের পর শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক করুণারত্নের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
খেলা ডেস্ক: দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষ হওয়ার বেশ আগেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ, শুধু এক সেশন বললে একটু ভুল হয়। ‘ছুটি’টা এক সেশনেরও বেশি সময় বলা যায়।
কীসের ছুটি তা এতক্ষণে সবার জানা। মিরপুর টেস্টে কাল ৪ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। উইকেটে ছিলেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। কথা ছিল, আজ পঞ্চম এবং শেষ দিনে লড়াই করবে বাংলাদেশ।
সকালের সেশনে মুশফিকুর রহিম আউট হলেও লিটন-সাকিবের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্নটা টিকে ছিল বাংলাদেশের। দুজনে অপরাজিত থেকে শেষ করেন সকালের সেশন।
কিন্তু দ্বিতীয় সেশনেই স্বপ্নভঙ্গ। এই সেশনে ৯.৩ ওভারের মধ্যে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জয়ের জন্য মাত্র ২৯ রানের সহজ লক্ষ্য পায় শ্রীলঙ্কা।
অথচ অন্তত দ্বিতীয় সেশনের পুরোটা সময় ব্যাট করতে পারলেও ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে থাকত মুমিনুল হকের দল। শেষ সেশনে গিয়ে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ভঙ্গুর উইকেটে শ্রীলঙ্কা হয়তো জয়ের পিছু ছোটার ঝুঁকি নিত না।
কিন্তু বাংলাদেশ তৃতীয় সেশনে খেলা না হওয়ার সুযোগটা করে দেয় দ্বিতীয় সেশনে আগেভাগেই অলআউট হয়ে। এক সেশনের বেশি সময় হাতে রেখেই ১০ উইকেটে জিতেছে শ্রীলঙ্কা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার সময় নিয়েছেন মাত্র তিন ওভার। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৮ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন লঙ্কান ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দো। অন্য প্রান্তে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে।
এই জয়ে সিরিজও নিজেদের করে নিল শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করায় দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতল শ্রীলঙ্কা।