ডিসিও নাসির উদ্দিন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নিজস্ব প্রতিবেদক: ট্রেন টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, শফিকুলকে তড়িঘড়ি বরখাস্তের আদেশ দেওয়া পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে।
রোববার দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন | ফাইল ছবি |
টিটিইর বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে সুজন বলেন, ‘তার সাসপেনশন লেটার উইথড্র করা হচ্ছে এবং যে ডিসিও (বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা) এ ধরনের অর্ডার দিয়েছে, তাকে আমরা একটা শোকজ করছি যে, কীভাবে সেটা দিল। কাজেই বিষয়গুলো সবই চলে আসবে।
‘তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে, টেলিফোনের কথার ওপর অভিযোগের ভিত্তি করে সে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা আমরা (ডিসিওর কাছে) ব্যাখ্যা চেয়েছি। ডিসিওকে ইতিমধ্যে শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কোন জায়গায় ব্যত্যয়ের কারণে টিটিইর বরখাস্ত প্রত্যাহার করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উইথড্র করছি এ জন্য যে কথাটা আপনারা প্রশ্ন তুলেছেন যে, একটা যাত্রী ঢাকা আসছে। সে একটা অভিযোগ দিল। অভিযোগটা এত অল্প সময়ের মধ্যে সে কীভাবে পেল, লিখিত অভিযোগটা।’
গত ৫ মে রাতে ঈশ্বরদী থেকে ওঠা তিন যাত্রীকে বিনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য জরিমানা করেন টিটিই শফিকুল ইসলাম।
ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। টিকিট ছাড়াই পাবনা থেকে ঢাকামুখী ট্রেনে উঠে এসি কামরায় বসেছিলেন তিন যাত্রী। তখন টিটিই বিনা টিকিটে ভ্রমণের জন্য তাদের কাছ থেকে জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করেন। পাশাপাশি এসি কামরাও ছাড়তে হয় তাদের।
গত বৃহস্পতিবার রাতের এ ঘটনার পর ওই টিটিইকে মুঠোফোনে বরখাস্ত করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নিকটাত্মীয়। তার ফোন পেয়েই টিটিইকে বরখাস্ত করা হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
গত শুক্রবার টিটিইকে বরখাস্ত করার খবর প্রকাশের পর নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়।
এর মধ্যে গতকাল শনিবার রেলমন্ত্রী এক প্রশ্নের জবাবে বিবিসিকে বলেছিলেন, কারা তার আত্মীয় পরিচয় দিয়েছেন, তাদের তিনি চেনেন না। সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণেই বরখাস্ত হয়েছেন টিটিই।