ঈশ্বরদীতে অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যার মামলায় নারীর যাবজ্জীবন

ঈশ্বরদী উপজেলায় এক অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যার মামলায় জবা খাতুন নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালক। রায়ের পর  জবাকে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় এক অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যার মামলায় জবা খাতুন (৩০) নামের এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও তা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট উপজেলার দাশুড়িয়া এলাকায় মিঠুন হোসেন (২৮) নামের এক অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়। পরদিন পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জবা খাতুন ও তাঁর স্বামী সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর দুজনই আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে জবা-সাগর দম্পতি জানান, নিহত মিঠুন হোসেনের সঙ্গে তাঁদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। ঘটনার দিন তাঁরা বেড়ানোর জন্য মিঠুনের অটোরিকশা ভাড়া করেন। এরপর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরির পর রাতে ঈশ্বরদী ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিটিউট এলাকায় নির্জন স্থানে নিয়ে ওই অটোরিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জবা খাতুন ও তাঁর স্বামী সাগর হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় দেড় বছর আগে সাগর হোসেন কারাগারেই মারা যান। এরপর আদালত মামলাটির শুনানি ও সাক্ষ্য–প্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন দেওয়ান মজনুল হক। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত জবা খাতুন আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।