পাবনায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পেল ৫৭ কিশোর

টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পাওয়া শিশু-কিশোর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

প্রতিনিধি পাবনা: পাবনার সুজানগর উপজেলায় টানা ৪০ দিন মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করায় ৫৭ শিশু-কিশোরকে সাইকেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সুজানগর উপজেলা অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বাইসাইকেল দেয়া হয়।

শিশু কিশোরদের নামাজে আগ্রহী করতে ও আদর্শ প্রজন্ম গঠনের লক্ষ্যে শহীদ ডা. এ.কে মোহাম্মদ আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং এম এইচ গ্রুপ অব কোম্পানি লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় ব্যতিক্রমী এ পুরস্কারের আয়োজন করা হয়। নিয়মিত নামাজ আদায়ের পুরস্কার হিসেবে এসব কিশোরদের প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল দিয়েছেন তারা।

পৌর কাউন্সিলর ও শহীদ ডা.এ.কে মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোশফিকুর রহমান সাচ্চুর সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন।

মাদকমুক্ত সমাজ ও শিশু-কিশোরদের সুন্দর চরিত্র গঠন করতে এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এমন উদ্যোগ যেন দেশের সব মসজিদেই হয় সেই আশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।

মোশফিকুর রহমান সাচ্চু জানান, সুজানগর থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুজানগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ ডা. এ.কে মোহাম্মদ আলীর নামে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশন। সংগঠনের সভাপতি এবং এম এইচ গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন জুয়েলের সার্বিক সহযোগিতায় গত প্রায় দেড় মাস আগে থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেখানে সুজানগর পৌরসভার ৬৩ জন শিশু-কিশোর অংশ নেয়। তাদের মধ্যে টানা ৪০দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে এসে আদায় করতে সক্ষম হন ৫৭ কিশোর। মঙ্গলবার সেই ৫৭ কিশোরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাইসাইকেল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী ও সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আখতারুজ্জামান আক্তার, সুজানগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।