ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে পাকিস্তানি রুপির। আজ বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রতি ডলারের বাজারদর ২০০ রুপিতে পৌঁছেছে  | ফাইল ছবি: রয়টার্স

ডেস্ক নিউজ: বিশ্বের আরও অনেক দেশের মতোই এখন তীব্র সংকটে পাকিস্তানের অর্থনীতি। ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে পাকিস্তানি রুপির। আজ বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রতি ডলারের বাজারদর ২০০ রুপিতে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ৩৮ ‘অপরিহার্য নয়, এমন বিলাসবহুল পণ্যের’ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। খবর ডন ও এএফপির

রাজধানী ইসলামাবাদে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব। ‘জরুরি অর্থনৈতিক পরিকল্পনার’ আওতায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আমদানি নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে গাড়ি, মুঠোফোন, সিগারেট, গৃহস্থালির সরঞ্জাম, ফলমূল, ক্রোকারিজ, ব্যক্তিগত অস্ত্র ও গোলাবারুদ, জুতা, বৈদ্যুতিক বাতি, হেডফোন ও লাউড স্পিকার, সস, দরজা ও জানালার কাঠামো, ভ্রমণে ব্যবহৃত ব্যাগ, স্যানিটারি পণ্য, মাছ, কার্পেট, সংরক্ষিত ফলমূল, টিস্যু পেপার, আসবাব, শ্যাম্পু, বেকারি পণ্য, বিলাসবহুল ম্যাট্রেস ও স্লিপিং ব্যাগ, জ্যাম ও জেলি, কর্নফ্লেক্স, প্রসাধনী, হিটার ও ব্লোয়ার, সানগ্লাস, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, হিমায়িত মাংস, ফলের জুস, পাস্তা, আইসক্রিম, দাড়ি কামানোর সামগ্রী, বিলাসী চামড়াজাত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, সেলুনের সরঞ্জাম, চকলেট ও কোমল পানীয়।

এসব পণ্যকে ‘অপরিহার্য নয়, এমন বিলাসী পণ্য’ আখ্যা দিয়ে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দিনরাত কাজ করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৩৮ পণ্যের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমদানি করা এই পণ্যগুলো সাধারণ মানুষ এখন তেমন ব্যবহার করে না।

এর আগে এক টুইট বার্তায় শাহবাজ শরিফ আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। বিলাসবহুল পণ্যের ওপর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমবে বলে জানান তিনি। এর পরিমাণ ৬০০ কোটি ডলার বলে জানিয়েছেন মরিয়ম আওরঙ্গজেব।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালিদ তাওয়াব বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি সরকারের একটি বিচক্ষণ পদক্ষেপ। এর ফলে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে আমরা অতিপ্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাতে পারব।’