খুলে দেওয়া হয়েছে মহাস্থানগড় বাজার উড়ালসেতু, তবু যানজট

মহাস্থান উড়ালসেতুর নির্মাণকাজের কারণে একমুখী যান চলাচল | ফাইল ছবি

বগুড়া প্রতিনিধি: নির্মাণকাজ শেষ না হতেই বগুড়ার মহাস্থানগড় বাজারে চার লেন মহাসড়কের ৬৩৮ মিটার উড়ালসেতু খুলে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে উড়ালসেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট তৈরি হচ্ছে।

ঈদযাত্রায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে যানবাহনের চাপ সামাল দিতে এবং যানজট এড়াতে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই উড়ালসেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। চার লেনে সম্প্রসারণ প্রকল্পের তদারক সংস্থা এশিয়ান হাইওয়ে সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২–এর পরিচালক ওয়ালিউর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়েছে। তাই ঢাকা থেকে রংপুরগামী যানবাহনের ঢল সামাল দিতে এবং ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগ কমাতে মহাস্থানগড় বাজারের উড়ালসেতু খুলে দেওয়া হয়েছে।

ওয়ালিউর রহমান আরও বলেন, আগামী ঈদুল আজহার আগেই ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়কের বগুড়া থেকে রংপুরের মর্ডান মোড় অংশে আরও কয়েকটি সেতু, কালভার্ট ও উড়ালসেতু খুলে দেওয়া হবে। এতে আগামী দিনে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে।

এদিকে চার লেনে সম্প্রসারণকাজের কারণে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের চান্দাইকোনা থেকে চাপড়িগঞ্জ পর্যন্ত বগুড়ার ৬৫ কিলোমিটার অংশের কয়েকটি স্থানে গাড়ি চলাচল করছে ধীরগতিতে। এতে থেমে থেমে যানজট তৈরি হচ্ছে।

ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে বগুড়ায় আসা নবীন রহমান বলেন, শুক্রবার ভোররাত চারটার দিকে তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক সময় হলে সকাল আটটা থেকে নয়টার মধ্যেই পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু মহাসড়কে ধীরগতিতে গাড়ি চলাচলের কারণে বগুড়া পৌঁছাতে বেলা একটা বেজে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ‘এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত অগ্রগতি গড়ে ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের ধীরগতির কারণে এ মহাসড়কে যান চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের বগুড়ার শেরপুর থানার পরিদর্শক এ কে এম বানিউল আনাম  বলেন, করোনা ও লকডাউনের কারণে গত দুই বছর ঈদ উদ্‌যাপন করতে মানুষ রাজধানী ছাড়েনি। এবার ঈদে লাখো মানুষ রাজধানী ছেড়েছে। এতে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কে ঘরমুখী মানুষের স্রোত নেমেছে। তবে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।