রেজাউল করিম | ছবি: সংগৃহীত |
বুধবার রাজধানীর কমলাপুর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব বলছে, অনলাইন টিকিট বিক্রির সার্ভারে প্রবেশের সুযোগ ছিল রেজাউল করিমের। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছয় বছর ধরে টিকিট কালোবাজারি করে আসছিলেন তিনি। এ ঘটনায় সহজ তাঁকে চাকরিচ্যুত করেছে। তাদের ভাষ্য, অভিযুক্ত ব্যক্তি মাঠ কর্মীর একজন সাপোর্ট স্টাফ, ইঞ্জিনিয়ার নন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন। তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টিকিট কালোবাজারি করে আসছিলেন তাঁরা। তাঁদের এই জালিয়াতির কারণে অনলাইনে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যেত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল করিম র্যাবকে জানিয়েছেন, রেলওয়ের ভিআইপি ব্যক্তিদের টিকিট সরবরাহের মাধ্যমে নির্বিঘ্নে তিনি এ কাজ করে আসছিলেন।
আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, গ্রেপ্তারের পর রেজাউল করিমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সহযোগী এমরানুল আলম ওরফে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ই-টিকিট জব্দ করা হয়। এই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির বিষয় উন্মোচিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, রেজাউল করিম সহজ ডটকমের আগে অনলাইনে টিকিট বিক্রির দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান সিএনএস বিডিতেও কর্মরত ছিলেন। অভিজ্ঞ কর্মী হিসেবে সহজ ডটকম তাঁকে নিয়োগ দেয়। তিনি সার্ভার থেকে টিকিট সরিয়ে পরিচিতজনদের কাছে ৫০০ টাকা বেশিতে বিক্রি করতেন। আর অপরিচিত ব্যক্তিদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়ে এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতেন।
কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে গ্রেপ্তার রেজাউল করিম ও তাঁর সহযোগী এমরানুল আলম ওরফে সম্রাট | ছবি: সংগৃহীত |
র্যাব আরও জানায়, রেজাউল অবৈধ টিকিট বিক্রির একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাদের মাধ্যমে কালোবাজারির টিকিট বিক্রি করতেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতেন তাঁরা। এই চক্রের সদস্যরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পরিবর্তে লেনদেন করতেন নগদ অর্থে।
ট্রেনের কালোবাজারি সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি'র বক্তব্য: গত ছয় বছর ধরে রেজাউল করিম রেজা বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট সিস্টেমে সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সহজ চার সপ্তাহ আগে তাঁকে নিয়োগ দেয়। সহজ বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মাঠকর্মীর একজন সাপোর্ট স্টাফ, ইঞ্জিনিয়ার নন।