ইমতিয়াজ চৌধুরী মিলন | ছবি: সংগৃহীত |
নিজস্ব প্রতিবেদক: ইমতিয়াজ চৌধুরী মিলন ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়ক পদ প্রত্যাশী। আওয়ামী পরিবারের সন্তান মিলন চৌধুরীর দাদা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম আব্দুল হামিদ চৌধুরী ও বাবা আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম আব্দুল বারী চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে লালন করে আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
মিলন চৌধুরীর মা মোছাঃ নুরজাহান বেগম ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী মালিথা পরিবারের সন্তান। যে পরিবার ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে ঈশ্বরদীর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছে। বাবা ও দাদার পথ অনুসরণ করে মিলন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মিলন চৌধুরী ।
পরবর্তীতে উপজেলা যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় মিলন চৌধুরী প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকারের অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর পর তাঁর শূণ্যতা অনেকাংশে পূরণ করেছেন মিলন চৌধুরী। রাজপথের রাজনীতিতে মিলন চৌধুরী একজন কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে সকলের মনে ঠাঁই করে নেন। দলের যে কোন মিছিল, মিটিং, সভা-সমাবেশে মিলন চৌধুরী ও তাঁর শত শত সমর্থকদের সরব উপস্থিতি প্রতিটি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটিতে ১নং যুগ্ম আহবায়ক পদে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা মিলন চৌধুরীকে পেতে চান। দলের সাধারণ কর্মীরা মনে করেন, রাজপথের লড়াই সংগ্রামের পরীক্ষিত মুজিব সৈনিক মিলন চৌধুরী উপজেলা যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হলে যুবলীগ আরো গতিশীল ও শক্তিশালী হবে।
মিলন চৌধুরী বলেন, দলের দুঃসময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। সবাই জানে ঈশ্বরদী পৌরসভার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি অধ্যুষিত। বিএনপির শাসনামলে এ এলাকায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বারবার মারধর, হামলা ও মামলা-মোকাদ্দমার শিকার হয়েছি। ১/১১ সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে মিছিল করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। তবুও রাজপথ ছাড়িনি। ভয় ভীতি ও কোন প্রলোভন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে আমাকে বিচ্যুত করতে পারিনি। এক সময়ের বিএনপির দূর্গ হিসেবে পরিচিত এ এলাকা এখন হাজার হাজার নেতাকর্মী এখন নির্ভয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। আগামীতে ঈশ্বরদীর যুবলীগকে শক্তিশালী ও গতিশীল করতে নিরসলভাবে কাজ করে যেতে পারি সেজন্য সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।