![]() |
আদালত | প্রতীকী ছবি |
প্রতিনিধি রাজশাহী: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাংসদ মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যের কারণে করা মামলায় একজন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার রাজশাহীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল বাহার এ আদেশ দেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এ মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। রোববার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কহিদুল ইসলাম, পানানগর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু এমদাদুল হক ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পানানগর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় সাংসদ মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে আসামিরা অশালীন মন্তব্য করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী শফিকুল ইসলাম তরফদার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুর্গাপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা প্রত্যাহার না করা হলে কয়েকজন নেতাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এ অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আদম আলী নিজের ও এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত শনিবার দুর্গাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জামিন শুনানির সময় এ বিষয়টিও আদালতের নজরে আনা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলায় গত ৩১ মার্চ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের দিন ধার্য থাকলেও আসামিরা এদিন আদালতে উপস্থিত হননি। রোববার আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিনের আবেদন জানান। আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল বাহার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়ে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে আজ আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সবুর খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল ওয়াহাব ও আহসান হাবীব। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন জালাল উদ্দিন।