বেনারসি বাজারে শাড়ি দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রতিনিধি পাবনা: এবারের ঈদে পাবনার ঈশ্বরদী বেনারসি বাজার বেচাকেনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঐতিহ্যবাহী বেনারসি-কাতান শাড়ির চাহিদা থাকায় শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় তাঁতিদের চোখে এখন ঘুম নেই। গভীর রাত অবধি জেগে তারা তৈরি করছেন নতুন ডিজাইনের আকর্ষণীয় বেনারসি কাতান শাড়ি ও সালোয়ার।
জানা যায়, ঈশ্বরদী শহরের ফতেমোহাম্মদপুরে রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর বেনারসি বাজার। এখানকার প্রায় প্রতিটি ঘরের তাঁতিরা বেনারসি-কাতান শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে এবারের ঈদে বেনারসি বাজারে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ও চাহিদা পেয়েছে বেনারসি মসলিন শাড়ি ও বেনারসি মখমলের লেহেঙ্গা।
তাঁতি ও তাঁত মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার দেশ ও দেশের বাইরের বেশ কয়েকটি নতুন ডিজাইনের শাড়ির চাহিদা তৈরি হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এসব নতুন শাড়ির মধ্যে বেনারসি মসলিন শাড়ি, বেনারসি স্টোন ওয়ার্ক শাড়ি ও মখমলের লেহেঙ্গার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া নতুন ডিজাইনে তৈরি শাড়ির মধ্যে বেনারসি জামদানি ১ থেকে ৪ হাজার, জুট ও নেট জামদানি ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার, ওপারা কাতান শাড়ি সাড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার, বিয়ের বেনারসি ৪ থেকে ১২ হাজার টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ঈদে নতুন ডিজাইনের মধ্যে মখমলের লেহেঙ্গা ও বেনারসি মসলিন বাজারে বেশ প্রভাব ফেলেছে। প্রকারভেদে এসব লেহেঙ্গা ও শাড়ি সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
ফতেমোহাম্মদপুর গাউছিয়া মার্কেটে নিউ বেনারসি পল্লি শোরুমের মালিক আসিফ আলী জানান, করোনার পর এবারের ঈদে তাদের মোটামুটি ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদে নেট লেহেঙ্গা ব্যাপক চাহিদা ফেলেছে। এ ছাড়া এখানকার শাড়ি কাপড় রাজধানী ঢাকা বঙ্গবাজার, ইসলামপুর, মিরপুর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক চাহিদা মিটাচ্ছে। অনেকে আবার এখানকার কাপড় দেশের বাইরেও পাঠাচ্ছেন।
এ বিষয়ে তাঁতের জ্যেষ্ঠ মালিক জাভেদ বেনারসি জানান, এবার ঈদে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ ও চাহিদা রয়েছে বেনারসি মসলিন শাড়ি যা সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের তৈরি। এটি নরম ও ওজনে হালকা। দামও খুব বেশি নয়। অভিজাত ঘরের রমণীরা এ শাড়ি পছন্দ করে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
তাঁত মালিকেরা জানান, গেল দুই বছর করোনার কারণে তারা ব্যবসা করতে পারেননি। এবার তারা আশাবাদী। বেচাকেনা ভালো হলে কিছুটা হলে লাভের মুখ দেখবেন তারা।