বাটার লোগো  |  ফাইল ছবি

প্রতিনিধি রাজশাহী: এক জোড়া জুতার দাম ওপরে লেখা ৯৯৯ টাকা। সেই স্টিকার খুলতেই আরেকটি স্টিকার বেরিয়ে এল। তাতে লেখা, দাম ৭৯৯ টাকা। একইভাবে আরেকটি জুতার ওপরের স্টিকারে দাম লেখা ১ হাজার ২৯৯ টাকা। সেই স্টিকার খুলতেই আরেকটি স্টিকারে দেখা গেল, মূল্য ৯৯৯ টাকা।

এ ধরনের স্টিকার কারসাজি করার অপরাধে রাজশাহীতে এক জুতা দোকানের ব্যবস্থাপককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ রোববার সকালে এই জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকারের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হাসান-আল-মারুফ।

হাসান-আল-মারুফ বলেন, ২২ এপ্রিল নগরের নিউমার্কেট এলাকায় তাঁরা নিয়মিত বাজার তদারকি করতে যান। এ সময় তাঁরা বাটা জুতার দোকানে যান। কৌতূহলবশত জুতার স্টিকার তাঁরা খুলতে শুরু করেন। দুটি মডেলের জুতার মূল্য কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়। মূল্য কারসাজি কী করে হলো, এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে দোকানের ব্যবস্থাপককে দুই দিন সময় দেওয়া হয়। রোববার সকালে দোকানটির ব্যবস্থাপক আবদুল করিম হাওলাদার তাঁদের কার্যালয়ে এসে স্টিকার লাগানোর বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। ফলে তাঁকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে ২১ এপ্রিল রাজশাহী নগরের তেরখাদিয়া বাজারের একটি দোকান থেকে আটা কেনেন ফাহমিদ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। পরে তিনি দেখেন, আটা মেয়াদোত্তীর্ণ। ওই দিনই তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। রোববার সকালে অভিযোগের শুনানি ছিল। এতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তেরখাদিয়া বাজারের বিসমিল্লাহ রেশন স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার ২৫ শতাংশ; অর্থাৎ ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন অভিযোগকারী ফাহমিদ। বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।