মাংসের দাম বেড়েছে, মসলা আগের দামেই

 | পদ্মা ট্রিবিউন গ্রাফিক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদের আগে গরুর মাংসের দাম কেজিতে আবারও ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা কেজি। অথচ গত সপ্তাহেও ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়া যেত।

মুরগির দামও আরেক দফা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল কাজারে প্রতি কেজি সোনালিকা (কক) মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩২০ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৮৫ টাকায়। এ নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে দুই দফা মুরগির দাম বাড়ল। গত সপ্তাহে সোনালিকা মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

মাংস-মুরগির দাম বাড়লেও ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর হচ্ছে, মসলার দাম নতুন করে আর বাড়েনি। কল্যাণপুরের নতুন বাজার ও কারওয়ান বাজারে ১০০ গ্রাম এলাচ ২০০-২৬০ টাকা, জিরা ৪০-৪৬ টাকা, দারুচিনি ৪০-৪৫ টাকা, লবঙ্গ ১০০-১২০ টাকা ও কালো গোলমরিচ ৯০-১০০ টাকায় গতকাল বিক্রি হয়েছে। আর ১০০ গ্রাম আলুবোখারার দাম ৪০-৪৫ টাকা এবং জয়ত্রী ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারে মসলা বিক্রেতা মো. ফারুক  বলেন, গত এক মাসে মসলার দাম আর বাড়েনি। তবে প্রায় দুই মাস আগে যুদ্ধের সময় (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) প্রায় সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছিল। মাঝেমধ্যে পাইকারিতে ১০-২০ টাকা হেরফের হলেও খুচরায় এর প্রভাব এবার তেমন পড়েনি বলে জানান এই বিক্রেতা।

মাংসের দাম বেড়েছে: মোহাম্মদপুরের টাউন হল, কল্যাণপুরের নতুন বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পরিমাণে ৪-৫ কেজি কিনলে মোট মূল্য থেকে ২০-৩০ টাকা ছাড় দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া খাসির মাংস ৯৫০ টাকায় এবং ছাগলের মাংস ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল ওই তিন বাজারে।

কল্যাণপুর নতুন বাজারের মাংস বিক্রেতা আল আমিন রমজান মাস শুরুর আগে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করতেন। শবে বরাতের পর থেকে রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বিক্রি করেছিলেন ৬৮০ টাকায়।

আল আমিন বলেন, তিনি সাধারণত ১২০ থেকে ১৪০ কেজি গোশত হবে এমন আকারের গরু কেনেন। আগে হাট থেকে ওই আকারের গরু ৮০-৮৫ হাজার টাকায় কেনা যেত। এখন দাম ১ লাখ টাকার বেশি পড়ছে। তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কল্যাণপুর নতুন বাজার থেকে দুই কেজি গরুর মাংস কেনেন গৃহিণী আলেয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, এ মাসে তিনবার গরুর মাংস কিনেছেন। প্রতিবারই ভিন্ন ভিন্ন দামে কিনতে হয়েছে। আগে প্রতিবছরই সিটি করপোরেশন থেকে গরুর মাংসের দর নির্ধারণ করে দেওয়া হতো। এবারও এমন পদক্ষেপ নিলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নেওয়ার সুযোগ পেতেন না।

প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের সময় মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এই সুযোগটাই ব্যবসায়ী ও খামারিরা নেন বলে জানান ক্রেতারা।

অন্যদিকে ঈদের আগে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফায় দাম বেড়ে সোনালিকা মুরগি প্রতি কেজি ৩০০-৩২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।