যার গাফলতির কারণে ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত হবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে- পাবনার পুলিশ সুপার

ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দেন পাবনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুরে সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ থেকে ছবিটি তোলা।

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: ঈশ্বরদী পৌরসভা ভোটগ্রহণ উপলক্ষে পুলিশ সুপারের ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে ঈশ্বরদী সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

এতে দিক নির্দেশনামূলক ও পরামর্শ দেন পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম। তিনি ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, ফোর্স  ও আনসার সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মেনে ভোটকেন্দ্র সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ব্যক্তি ও দলের উর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনে ভোটগ্রহন সুষ্ঠু করতে যা যা করনীয় তাই করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহন নিশ্চিত করতে পাবনা জেলা পুলিশ ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

পুলিশ সুপার বলেন, যার গাফলতির কারনে অবাধ ভোটগ্রহন বিঘ্নিত হবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মো: নাসীর উদ্দীনের সঞ্চালনায় ব্রিফিং প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন জেলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: শরিফুল ইসলাম, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির, ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ সরকারসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

অতিরিক্ত পুলিশসুপার ফিরোজ কবির জানান,  পৌরসভার ১৯ ভোটকেন্দ্রের সবকটি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) বলে মনে করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৪টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকির বিবেচনায় রাখা হয়েছে। কেন্দ্র ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জেলা পুলিশ প্রাথমিক কৌশল নির্ধারণ করেছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের ধরণ অনুযায়ী চার থেকে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন তারা চৌকস ভূমিকা পালন করবেন। নির্বাচনের আগে পুলিশ সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।

উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কাল শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী পৌরসভার ১৯ ভোট কেন্দ্রের ১৫২ বুথে ভোটগ্রহণ চলবে। এতে পৌর মেয়র পদে ৩ জন, সাধারণ কাউন্সিলরে ৪৯ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে  ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইছাহক আলী মালিথা, বিএনপির রফিকুল ইসলাম নয়ন, ইসলামী আন্দোলনের মাসুম বিল্লাহ।

পৌরসভার মোট ভোটার ৫৫ হাজার ৫৬৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ২৪১ ও নারী ভোটার ২৮ হাজার ৩২৭ জন।

ভোটের মাঠে কাজ করবেন ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক র‍্যাব, তিন প্লাটুন বিজিবি ও ২৫০ জন পুলিশ। এছাড়াও ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে পুলিশের সঙ্গে থাকছে  প্রয়োজনীয় আনসার ও গ্রামপুলিশের সদস্য।

এক প্রশ্নের জবাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস।

ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে পুলিশের ব্রিফিং প্যারেড।