ঈশ্বরদী পৌর নির্বাচনের সব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

গ্রাফিক্স পদ্মা ট্রিবিউন

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: রাত পোহালেই দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঈশ্বরদী পৌরসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
 
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শেষ হলো প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। তাই শেষ দিনের প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন প্রার্থীরা।

এদিকে নির্বাচনে পৌরসভার ১৯টি ভোটকেন্দ্রের সবকটি ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) বলে মনে করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৪টি কেন্দ্র অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে তিন স্তরের নিরাপত্তার সঙ্গে থাকছে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার। রাত থেকে যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধের আওতায় আসবে ঈশ্বরদী। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পুরো শহর। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কিছু কিছু ভোটার ও প্রার্থীদের মনে রয়েছে শঙ্কা।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির জানান, “ঈশ্বরদী পৌরসভার ১৯টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটারদের নিরাপত্তায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ এক প্লাটুন র্যা ব ও তিন প্লাটুন বিজিবি থাকবে।”।

উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের নির্ধারিত দিনের পূর্ববর্তী মধ্যরাত ১৫ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ১৬ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী শহরে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া ১৪ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ১৭ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
 
তবে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্ট এবং পর্যবেক্ষকদের জন্য এ নির্দেশনা শিথিলযোগ্য। এছাড়া সাংবাদিক, নির্বাচন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
 
ঈশ্বরদী পৌরসভায় মেয়র পদে ৩, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইছাহক আলী মালিথা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও রিটার্নিং অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশ্বস্ত করে বলেন, “ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশৃংখলতার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।”

পৌরসভার মোট ভোটার রয়েছে ৫৫ হাজার ৫৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৭ হাজার ২৪১ জন ও নারী ভোটার ২৮ হাজার ৩২৭ জন।  ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯টি এবং বুথ সংখ্যা ১৫২টি।